এই মূল্যবোধকে তবে কি ভাবে রক্ষা করা যায় ? কাজটি আমরা তিনভাবে করতে পারি : (১) সর্বদা সদসৎ বিচারের দ্বারা, (২) যে কাজ আমাদের পক্ষে কল্যাণকর বলে মেনে নিয়েছি, সেইসব কাজেই নিজেদের বাস্ত করে রাখা এবং (৩) জীবনের মূল লক্ষ্যের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিষয়গুলির প্রতি অলস কৌতূহলকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা।
প্রকৃত বিচার-বিশ্লেষণের দ্বারা যা কল্যাণকর বলে বিবেচিত হয়েছে, সে কাজগুলি করার জন্য নিজেকে বাধ্য করতে হবে, দরকার হলে নিজের ওপর কঠিন শক্তি প্রয়োগ করেও তা করতে হবে – তাতে যা হয় হোক। পৃথিবীতে কঠিনতম কাজ বলতে গেলে পিতার নামোজ্জ্বল করা নয়, পুত্রকন্যাদের মানুষ করাও নয়; কঠিনতম কাজটি হলো নিজেকে মানুষ করে তোলা। যে নিজেকে নিয়মানুবর্তী করে তুলতে জানে, তার পক্ষে অন্যান্য কাজকর্মগুলো সহজসাধ্য হয়ে যায়। নিজেকে যত্নসহকারে এলোমেলো করে রাখার একটা ধরনও আছে যার দ্বারা ইচ্ছাশক্তির গতিবেগের বাধাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া যায়। মনকে দৈনিক শাসনে রাখবার উপযুক্ত স্লোগান হওয়া উচিত ‘যে-কাজ করণীয় তা এখনই করা।' এটাই আদর্শ হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাড়াহুড়োর মধ্যে ভুল করে অবসর সময়ে আক্ষেপ করার চেয়ে সঠিক কাজটি সম্ভাব্য দ্রুততায় সুসম্পন্ন করে অবসর সময়ে কৃতকর্মের জন্য প্রাপ্য আশীর্বাদকে উপভোগ করাই কি আরও শ্রেয়ঃ নয় ?
কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল তা যদি নিজেরাই আমরা স্থির করতে না পারি, তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। তেমন উপযুক্ত ব্যক্তির অভাবে শাস্ত্র থেকেও উপদেশ গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু কাজটি সঠিক বলে একবার বিবেচিত হবার পরেও নানারকম দ্বিধা সংশয় অনেক ক্ষেত্রেই কাজটিকে দ্রুত নিষ্পন্ন করার পথে বাধাসৃষ্টিতে সচেষ্ট হয়। সকলেই তো। কাজটা অন্য ভাবেই করে - - এজাতীয় একটা অজুহাত মনের মধ্যে খাড়া হয়। তখন আবার মনে আর একরকমের বিচার ওঠে যার নাম "বিষয়বুদ্ধি। এই বিষয়বুদ্ধি আসলে আমাদের দুর্বলতাগুলিরই পরোক্ষ সমর্থন। এটা গড়ে ওঠে এমন সব চিন্তাধারা থেকে যার অন্য নাম 'ব্যক্তিগত স্বার্থ। আর আমাদের মনের দ্বারাই ঐজাতীয় চিন্তাধারাগুলি পরিপুষ্ট হয়। যে সৎ প্রচেষ্টায় ইচ্ছাশক্তি জাগবিত হয়, তার মূলে মনের অসাধু ও অপরিণত অংশজাত এমন অন্তর্ঘাতের প্রচেষ্টাকে আমাদের সর্বপ্রযত্নে বাধাদান করা উচিত। মনের কেবল সেই অংশজাত শক্তির দ্বারা এইজাতীয় দ্বিধা সংশয়কে আঘাত করা উচিত যে অংশে ইতিপূর্বেই সত্যের আলোকপাত ঘটেছে। পক্ষান্তরে যা আমরা অন্যায় এবং ক্ষতিকর বলে নিশ্চিত জানব, তৎক্ষণাৎ তা থেকে নিবৃত্ত হতে হবে। ফল যাই হোক নির্ভয়ে তার মুখোমুখি হতে হবে।
সাধারণ পথ থেকে সরে দাঁড়াবার ফলে চিন্তাহীন লোকেরা আমাদের ঠাট্টাতামাসা করতে পারে; যারা স্বার্থপর, তারা ভয় দেখিয়ে এমন অন্যায় কাজ করতে বারণ করতে পারে; এমনকি, আমাদের বন্ধুবান্ধব পর্যন্ত এ-স্বভাবকে অদ্ভুত বলে জাহির করতে পারে, তবু যা আমরা সঠিক ও সত্য বলে জেনেছি, তার অনুসরণ আমাদের করতেই হবে। যাই হোক, কোন্টা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় তা নিশ্চয় করার ব্যাপারে আমাদের খুব সাবধান, সদাসতর্ক এবং গভীর অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ হয়ে হঠাৎ কোন একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া, কিংবা গোঁয়ার্তুমির বশে কোন কাজ করে ফেলা আমাদের পক্ষে একেবারেই অনুচিত। এ-মনোভাব আমাদের ইচ্ছাশক্তি বিকাশের পক্ষে দারুণ ক্ষতিকর। ন্যায় অন্যায়ের বিচার যদি নিজের দ্বারা করা সম্ভব না হয়, তবে এ সমস্যার সমাধান যাঁদের জানা, তাঁদের সাহায্য গ্রহণ করে সেই উপদেশ মতো কাজ করতে হবে।
Now these pure values need to be zealously defended, for we are constantly being tossed about by the tumultuous winds of various conflicting ideologies.
How can these values be protected? We can do this in three ways: (1) always by good judgment, (2) by devoting ourselves to what we believe to be good for us, and (3) by completely avoiding idle curiosity about things unrelated to the main purpose of life.
One must force oneself to do what is judged to be good by true judgment, if necessary by exerting great force on one's self – whatever that may be. The most difficult work in the world is not to honor the father, nor to raise sons and daughters; The hardest thing is to make yourself human. Other activities become easier for one who knows how to discipline himself. There is also a form of carefully shuffling the self that disables barriers to willpower momentum. A suitable slogan to keep the mind in daily routine should be 'Do what needs to be done now.' That should be the norm. Isn't it better to do the right thing as quickly as possible and enjoy the blessings due to the work done in the spare time rather than making mistakes in haste and regretting it at leisure?
If we cannot decide on our own what is right and what is wrong, then experts should be consulted. In the absence of such a suitable person, advice can also be taken from the scriptures. But once the work is considered correct, various doubts often try to obstruct the speedy completion of the work. Everyone is. Doing it the other way around - such an excuse gets stuck in the mind. Then again another kind of judgment arises in the mind which is called "selfishness. This selfishness is actually the indirect support of our weaknesses. It develops from all the thoughts which are called 'self-interest'. And it is through our mind that the divine thoughts are nourished. By the honest effort that awakens the will power, At its root we must resist with all our efforts such attempts at intrusion by the unscrupulous and immature part of the mind. Such ambivalence should only be struck by that particu- lar power of the mind to which the light of truth has already dawned. On the contrary, what we know for certain to be unjust and injurious, at once to refrain from it. No matter what the outcome, it must be faced fearlessly.
Departing from the common path may cause us to be mocked by thoughtless men; Those who are selfish, may be deterred from doing such wrongdoing by fear; Even our friends may find this behavior strange, but we must follow what we know to be right and true. However, we have to be very careful, vigilant and have deep insight to ascertain what is right and what is wrong. In these cases, it is absolutely inappropriate for us to come to a decision suddenly, or to do something under the guise of being emotional. This attitude is very harmful to the development of our willpower. If it is not possible to judge the right and wrong by yourself, then you should take the help of those who know the solution of this problem and act as advised.