The Role Of Faith To Develop Character




চরিত্র গঠনে বিশ্বাস-এর ভূমিকা 

চরিত্র গঠনে বা মনুষ্যত্ব উন্মেষে বিশ্বাসের ভূমিকা অপরিহার্য। স্বামীজী বলছেন, “হে বীরহৃদয় যুবকগণ, তোমরা বিশ্বাস কর যে, তোমরা বড় বড় কাজ করবার জন্য জন্মেছ ।” তিনি বলেছেন, “জগতে যা কিছু উন্নতি—সব মানুষের শক্তিতে হইয়াছে, উৎসাহের শক্তিতে হইয়াছে, বিশ্বাসের শক্তিতে হইয়াছে।" সত্যই পৃথিবীর যা কিছু অর্থনৈতিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি আমরা দেখি—সব কিছুই কি মানুষের আত্মবিশ্বাসের বলে নয় ? আমাদের বিভিন্ন বৃত্তিশীল মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এই বিশ্বাসের ভূমিকা অপরিসীম। এরই বলে ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী প্রভৃতি নিজ নিজ জীবনে সফলতা অর্জন করেছেন

আমি চরিত্রবান হব, মানুষ হব, এই কৃতনিশ্চয় বোধ, অর্থাৎ বিশ্বাস যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতি শিরা-উপশিরায় প্রবহমান না হবে, ততক্ষণ তার সমস্ত প্রচেষ্টাই বৃথা। পড়াশুনা বা যুক্তি কখনই গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে না, কিছুটা সাহায্য করে এই মাত্র। এজন্য শাস্ত্রে শ্রবণ, মনন ও নিদিধ্যাসনের কথা বলা হয়েছে।। গঠন ও মনুষ্যত্ব উন্মেষের কথাগুলি প্রথমে শুনতে হবে, পরে যুক্তি চরিত্র ও বিচারের দ্বারা বুঝতে হবে এবং সর্বশেষে তা কর্মজীবনে প্রতিফলিত করতে হবে। স্বামীজী বলছেন, বিশ্বাস—নিজের উপর বিশ্বাস — ঈশ্বরে বিশ্বাস—ইহাই উন্নতি “বিশ্বাস, বিশ্বাস, লাভের একমাত্র উপায়। যদি তোমার পুরাণের তেত্রিশ কোটি দেবতার এবং বৈদেশিকেরা মধ্যে মধ্যে যে সকল দেবতার আমদানি করিয়াছে, তাহার সবগুলিতেই বিশ্বাস থাকে, অথচ যদি তোমার আত্মবিশ্বাস না থাকে, তবে তোমার কখনই মুক্তি হইবে না।” নিজের ক্ষমতার ওপর আস্থা না থাকলে চরিত্র গঠন কখনই সম্ভব নয়। বিশ্বাস না থাকলে বড় রকমের কোন চেষ্টাই আসে না।

বাস্তববাদীরা বলবে, যে ভগবানকে কখনও দেখা যায় না কিংবা ধরাছোঁয়া যায় না, তাঁকে কল্পনা করে বিশ্বাস করি কেমন করে ? চোখ বুজে বিশ্বাস করার নাম অন্ধবিশ্বাস। এমনি কথাই কোন একজন শ্রীরামকৃষ্ণকে বলেছিল। বিনা প্রমাণে ভগবানকে বিশ্বাস করতে আমি রাজী নই। তিনি তার জবাব দিয়ে বললেন, “প্রমাণ যথেষ্ট আছে, কিন্তু তা এখনই তোমাকে দেবেন কেন ? বিকারের রোগী পান্তা ভাত খেতে চাইলে কি কবিরাজ তখন তাঁকে খেতে দেয় ? সে জানে দিলে তার হজম হবে না। আগে তেমন হজমশক্তি আসুক, তারপরে সে জিনিস পাবে, ভগবান আছেন কিনা কথায় কথায় তার প্রমাণ পাবে। আগে চাই বিশ্বাস তারপরে প্রমাণ। বিশ্বাস জিনিসটা অন্ধই হতে হবে। নইলে তা আসল বিশ্বাসই হলো না।” শ্রীঅরবিন্দ অনুরূপ কথাই বলেছেন। তিনি বলেছেন যে “বিশ্বাস হলো অন্তরের ভিতরকার এক স্বতঃস্ফূর্ত দৃঢ়নিশ্চয় বোধ, যা কোন বিচার বিতর্কের ধার ধারে না। এই বিশ্বাস জিনিসটি মানুষের পক্ষে অপরিহার্য, বিশ্বাস ছাড়া অজানিতের দিকের অভিযানে এক পা-ও অগ্রসর হওয়া যায় না।"
এই আত্মবিশ্বাস আত্মশ্রদ্ধারই নামান্তর। আমি উত্তম না হতে পারি, অধম নিশ্চয়ই নই। এই শ্রদ্ধাই নচিকেতাকে আত্মজ্ঞানে পৌঁছে দিল। চরিত্র গঠন একটি অবাস্তব জিনিস নয়। বিশ্বাসকে পাথেয় করে। এগোলে হাতে হাতে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে নিজের পায়ে না দাঁড়ালে কোন সাহায্যই কাজে লাগবে না। যার যেটুকু বিশ্বাস যেভাবে অনুভবের মধ্যে আসে তার ততটুকু নিয়েই গোড়াতে কাজ আরম্ভ করতে হবে। অবিশ্বাস ও তর্কবুদ্ধিকে প্রশ্রয় না দিয়ে সেই ক্ষীণতম বিশ্বাসের ওপরই জোর দিতে হবে, আপাতত তাতেই কাজ হবে, কারণ বিশ্বাসই বিশ্বাসকে বাড়াতে থাকে। যখন আমরা সমাজে চারদিক থেকে ঠকতে আরম্ভ করি, তখনই আমাদের মনে অবিশ্বাস এসে যায়, এবং অবিশ্বাসই উন্নতির অন্তরায়। চরিত্র গঠন করতে যদি একটা জীবনও চলে যায়, এতে ক্ষতি নেই কারণ যতটুকু এগোন যাবে ততটুকু ফল পাওয়া যাবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই, বিশ্বাসকে বাদ দিয়ে জীবনে পূর্ণতা লাভের কোন পথ নেই। স্বামীজী বার বার আত্মবিশ্বাসের ওপর জোর দিয়েছেন কেন ? তিনি জানতেন যে, ঘোর তমিশ্রায় নিদ্রিত এই জাতিকে উঠতে হলে— আত্মবিশ্বাসের বাণীই এদের প্রথম শোনাতে হবে।

স্বামীজী বলছেন, “আত্মবিশ্বাসরূপ আদর্শই মানব জাতির সর্বাধিক কল্যাণ সাধন করিতে পারে। যদি এই আত্মবিশ্বাস আরও বিস্তারিতভাবে প্রচারিত ও কার্যে পরিণত করা হইত, আমার দৃঢ় বিশ্বাস জগতে যত দুঃখ-কষ্ট রহিয়াছে, সেগুলির বেশীর ভাগ দূরীভূত হইত। সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসে মহাপ্রাণ নরনারীর মধ্যে যদি কোন প্রেরণা অধিকতর শক্তি সঞ্চার করিয়া থাকে, তাহা আত্মবিশ্বাস।” এই আত্মবিশ্বাসই চরিত্র গঠনের ও মনুষ্যত্ব উন্মেষের সবচেয়ে বড় সহায়ক।

এই প্রাথমিক বিশ্বাস নিয়ে এগোলে যাতে বিশ্বাস তার অস্তিত্বের প্রমাণ ক্রমশঃ প্রকাশিত হতে থাকবে এবং সব সন্দেহের অবসান হবে—কোন সন্দেহ নেই। বৈজ্ঞানিক কল্পনার বস্তু সন্ধানেই গবেষণা করে যান। প্রমাণ পেলে বলা হয় আবিষ্কার হল। বৈজ্ঞানিক প্রথমেই প্রমাণ দাবী করলে বিজ্ঞান এগোতেই পারতো না।

-------------------------------------------------------------------


-------------------------------------------------------------------


The Role Of Faith To Develop Character

Faith plays an essential role in character building or developing humanity. Swamiji says, "O brave-hearted youth, believe that you are born to do great things." He said, "All progress in the world has been made by the power of people, by the power of enthusiasm, by the power of faith." Really, all the economic, mental and spiritual progress we see in the world is not all due to the confidence of people? In the daily life of our various professional people. The role of this faith is immense, because of which students, farmers, workers, businessmen etc. have achieved success in their lives.

I will be a character, a man, until this conviction, that is faith, flows in every vein, all his efforts are in vain. Study or logic never reaches the destination, only a little helps. That is why the scriptures talk about hearing, meditation and meditation. The words of formation and humanity must first be heard, then understood by reason and judgment, and finally reflected in action. Swamiji says, faith—faith in self—faith in God—is progress “Faith, faith, is the only way to gain. If you have faith in all the thirty-three crore gods of Puranas and the gods imported by foreigners, but if you have no confidence, you will never be liberated.” Character formation is never possible without confidence in one's own abilities. No great effort comes without faith.

The realists will say, how can we imagine and believe in God who can never be seen or touched? Blind faith is called superstition. This is what someone said to Sri Ramakrishna. I refuse to believe in God without evidence. He replied, "There is enough evidence, but why give it to you now?" If the sick patient wants to eat panta rice, will Kaviraj let him eat it? If he knows, he will not be digested. Let such digestion come first, then he will get things, he will get proof of God's existence in words. Belief first then proof. Faith must be blind. Otherwise it is not true faith.” Sri Aurobindo said the same thing. He said that “Faith is a spontaneous conviction within the heart, which is not subject to any judgment or debate. This faith thing is essential to man, without faith one cannot advance a single step in the journey into the unknown."
This confidence is the name of self-respect. I may not be good, I am certainly not bad. It was this reverence that led Nachiketa to self-knowledge. Character formation is not an unreal thing. By faith. Evidence of this will be found hand in hand. No help will be of any use if you are not strong enough to stand on your own feet. Work should be started from the beginning with whatever faith comes into the feeling. Instead of indulging in disbelief and argument, insisting on the slightest belief will do for now, because belief breeds belief. When we begin to stumble around in society, distrust sets in, and distrust is a barrier to progress. If even a life is spent in building character, there is no harm in it because as far as one goes one will get results, there is no doubt, there is no way to attain perfection in life apart from faith. Swamiji repeatedly emphasized on confidence why? He knew that if this nation was to wake up, the message of confidence must be heard first.

Swamiji says, “Self-belief is the ideal that can achieve the greatest welfare of mankind. If this confidence were more fully propagated and put into practice, I firmly believe that most of the suffering in the world would be removed. If any motivation has exerted greater power among great women in the history of mankind, it is self-confidence.” This confidence is the biggest helper in character building and human development.

Proceed with this initial belief so that the evidence of its existence will gradually be revealed and all doubt will be removed—no doubt. Research the stuff of science fiction. Evidence is said to be discovered. Science could not have progressed if the scientist demanded proof first.

RJKB

RJKB stands for Raja Jnana Karma Bhakti. In this blogger site, you will get many more life building thoughts which will increase your Spiritual Power. So join this blog & start your Spiritual Journey. আর জে কে বি মানে রাজ জ্ঞান কর্ম ভক্তি। এই ব্লগার সাইটে, আপনি আরও অনেক জীবন গঠনের চিন্তা পাবেন যা আপনার আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করবে। সুতরাং এই ব্লগে যোগ দিন এবং আপনার আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু করুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post