Bharat Kalyan ( Part- 1A) ##Our MotherLand #The Glory Of India

পর্ব - ১ক 

ভারতের মহিমা

আমাদের পবিত্র মাতৃভূমি ধর্ম ও দর্শনের দেশ—ধর্মবীরগণের জন্মস্থান, ত্যাগের ক্ষেত্র। শুধু এই দেশেই সুদূর অতীত হইতে বর্তমান কাল পর্যন্ত মানবজীবনের মহত্তম আদর্শগুলি বিদ্যমান রহিয়াছে। ভি ভগবৎপরায়ণতা এবং নীতিবিজ্ঞানের প্রসূতি এই ভারত মাধুর্য, কোমলতা ও মানব-প্রীতির আকর। এই সবই এখনও বর্তমান এবং সমগ্র জগতের অভিজ্ঞতার বলে আমি জোর করিয়া বলিতে পারি যে, এইসব বিষয়ে ভারত এখনও জগতের জাতিপুঞ্জের অগ্রণী।

এই সেই ভারত, যাহা বহু শতাব্দীর ঘাত-প্রতিঘাত, শত শত বৈদেশিক আক্রমণ, শত শত অভিনব সামাজিক প্রথা ও আচারের আবির্ভাব সত্ত্বেও এখনও বাঁচিয়া আছে। সত্যই ভারতের জীবন অমর, প্রাণ-শক্তি অফুরন্ত। ইহা ভূপৃষ্ঠের যে-কোন পর্বত অপেক্ষাও অটল। বস্তুতঃ ভারতের জীবন আত্মারই মত অনাদি, অনন্ত ও অনির্বাণ।

এমনই দেশের সস্তান আমরা যখন গ্রীসের জন্ম হয় নাই, রোমের কথা কেহ ভাবে নাই, বর্তমান ইওরোপীয়দের পূর্বপুরুষগণ বিচিত্র অঙ্গরাগে রঞ্জিত অসত্য অরণ্যবাসীমাত্র ছিল, সেই সুদূর যুগেও ভারত তাহার সংস্কৃতির সাধনায় কর্মমুখর। তাহারও পূর্বে, যে দূর অতীতের খবর ইতিহাসে পাওয়া যায় না. যাহার কুয়াসা ভেদ করিতে কিংবদন্তীও সঙ্কুচিত, সেই সময় হইতে বর্তমান কাল পর্যন্ত কত উচ্চ উচ্চতার শান্তি ও শুভেচ্ছার বাণী বহন করিয়া ভারত হইতে জগতে ছড়াইয়া পড়িয়াছে। 

জগতের ইতিহাস পর্যালোচনা কর—যেখানেই কোন সুমহান আদর্শের সন্ধান মিলিবে, দেখিতে পাইবে উহার জন্ম ভারতবর্ষে। স্মরণাতীত কাল হইতে ভারত মানবসমাজের কাছে অমূল্য ভাব-সমূহের খনিস্বরূপ হইয়া রহিয়াছে। স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণায় উচ্চ ভাবরাশি আহরণ করিয়া সে সারা জগতে মুক্তহস্তে ঐগুলি বিলাইয়া দিয়াছে। ধর্মীয় গবেষণায় আমরা জানিতে পারি যে, যে-কোন দেশেই উত্তম নৈতিক বিধান প্রচলিত আছে, উহার জন্য ঐদেশ অন্ততঃ আংশিকভাবে ভারতের কাছে ঋণী; আর আত্মার অমরত্ব সম্বন্ধে যদি কোন ধর্মে সুষ্ঠু ধারণা থাকে, তাহা হইলে উহা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভারত হইতেই গৃহীত। বস্তুতঃ এই দেশ হইতে দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক ভাব-তরঙ্গ উচ্ছলিত হইয়া বারবার জগৎ প্লাবিত করিয়াছে। পুনরায় ভারতবর্ষ হইতে ঐরূপ এক মহাপ্লাবন নির্গত হইয়া মুমূর্ষু জাতিগুলির অন্তরে নূতন জীবন ও বলবীর্যের সঞ্চার করিবে।

সত্যই আমাদের মাতৃভূমির কাছে জগতের ঋণ অপরিসীম। ধীর প্রকৃতি নিরীহ হিন্দুর কাছে জগৎ যত উপকৃত হইয়াছে তেমন অপর কোন জাতির কাছে নয়। প্রভাতের কোমল শিশির-কণা যেমন লোকচক্ষুর অন্তরালে মনোরম গোলাপের কুঁড়িগুলিকে ফুটাইয়া তোলে, বিশ্ব-চিন্তাধারায় ভারতের অবদানও ঠিক সেইরূপ। অব্যর্থ ফলপ্রসূ ভারতীয় ভাবপুঞ্জের নীরব অলক্ষ্য প্রভাব বৈদেশিক চিন্তাজগতে কতবার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনিয়াছে। কেহ কখনও তাহা জানিতেও পারে নাই।

প্রাচীন ও আধুনিক কালে বহু শক্তিশালী খ্যাতনামা জাতি অনেক উচ্চভাব প্রচার করিয়াছে সত্য। সমুন্নত জাতীয় জীবনের উদ্বেল প্রবাহে শক্তিশালী সত্যের বীজসমূহ চতুর্দিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছে। এইরূপে এইসব ভাব একজাতি হইতে অন্য জাতিতে সংক্রমিত হইয়া আসিতেছে। কিন্তু ইহা লক্ষ্য করিবার বিষয় যে, ইহা ঘটিয়াছে যুদ্ধের তুর্যধ্বনির সঙ্গে, রণোন্মত্ত সেনাবাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে। প্রত্যেকটি ভাব যেন রক্তের বন্যার মধ্য দিয়া লক্ষ লক্ষ মানুষের শোণিত ঠেলিয়া- অগ্রসর হইয়াছে। শক্তিশালী বিজেতার এক একটি আদেশের ফলে উঠিয়াছে লক্ষ লক্ষ আর্তের চীৎকার, অনাথ শিশুর ক্রন্দন এবং নিরাশ্রয় বিধবার আকুল অশ্রুপাত। অন্যান্য জাতির ভাবপ্রচার হইয়াছে প্রধানতঃ এইভাবেই। বহু সহস্র বৎসরের ভারতীয় জীবন কিন্তু বিবাদ-বিসংবাদহীন নিবিড় শান্তির উপর প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে।

‘যোগ্যতমের উদ্বর্তন'—এই আধুনিক মতবাদ লইয়া পাশ্চাত্য দেশগুলি আজ মুখর। তাহাদের ধারণা, বাঁচিয়া থাকার যোগ্যতা নির্ভর করে শুধু দৈহিক বলের উপর। ইহা সত্য হইলে জগতের প্রবল পরাক্রান্ত প্রাচীন জাতিগুলি আজ সকলেই সগর্বে বাঁচিয়া থাকিতে পারিত আর যে দুর্বল হিন্দুজাতি কখনও অপর কোনও জাতিকে জয় করে নাই, তাহারা নিশ্চয়ই এতদিনে লোপ পাইত। কিন্তু কই তাহা ত ঘটে নাই। সেই সকল শক্তিশালী জাতিগুলিরই বরং আজ কোনও চিহ্ন নাই; অথচ আমরা ত্রিশ কোটি হিন্দু এখনও বাঁচিয়া আছি। জগতের সকল জাতির মধ্যে আমরাই কেবল অপর কোন জাতিকে পদদলিত করি নাই এবং এই মহাপুণ্যের ফলেই আমরা এখনও টিকিয়া আছি।

সেই প্রাচীন গ্রীস দেশের কথা ধরা যাক। ধরণীর পৃষ্ঠ হইতে উহা আজ সম্পূর্ণ লুপ্ত। রোমের কথাই বা কি? এমন এক সময় ছিল যখন প্রাচীন রোমের শোনাঙ্কিত পতাকা পৃথিবীর বরণীয় রাজ্যগুলির উপর শোভা পাইত। সর্বত্র রোমক জাতির পরাক্রম মানবজাতি অবনত মস্তকে স্বীকার করিয়া লইত। সমগ্র পৃথিবী যেন রোমের ভয়ে কাঁপিত। কিন্তু হায়। রোমের গৌরব বিখ্যাত ক্যাপিটোলীন পাহাড় আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত। প্রবল প্রতাপান্বিত রোমক সম্রাটদের প্রাসাদ আজ মাকড়সার জালে আবৃত। এইভাবে কত গৌরবশালী, জাতি পৃথিবীতে আসিয়াছে ও লয় পাইয়াছে— ক্ষণিকের প্রমত্ত প্রভুত্ব ও কলুষিত জাতীয় জীবনের অবসানে বুদবুদের মত ঘটিয়াছে তাহাদের চিরবিলুপ্তি। এইসব জাতি মানব-ইতিহাসের পৃষ্ঠায় ঠিক এই ভাবেই এক একটি দাগ রাখিয়া গিয়াছে। আমরা কিন্তু মরি নাই। আজ প্রাচীন স্মৃতিকার আচার্য মনু আমাদের মধ্যে ফিরিয়া আসিলে আমাদের দেখিয়া বিস্মিত হইবেন না- কোন অপরিচিত দেশে আসিয়াছেন বলিয়া তাহার ভ্রম হইবে না। কারণ হাজার হাজার বৎসরের গবেষণা ও নিয়ন্ত্রণের ফলে উদ্ভাবিত পুরাতন বিধানগুলি এখনও এদেশে প্রচলিত। শত শত যুগের মনীষা এবং অভিজ্ঞতা প্রসূত আচারগুলি যেন চিরজীবী হইয়া এখানে বিদ্যমান। যতই দিন যায়, প্রতিকূল অবস্থার পীড়ন যতই উহাদের উপর আসে, ততই যেন উহারা আরও বলিষ্ঠ ও দৃঢ়মূল হয়।

এমন কোন দেশের কথা কি কখনও শুনিয়াছ, যেখানে শ্রেষ্ঠ রাজন্যবর্গ কোন পরাক্রান্ত নৃপতি বা প্রাচীন দুর্গবাসী দস্যু-জমিদারের পরিবর্তে বনবাসী অর্ধনগ্ন তাপসদের বংশধর বলিয়া নিজেদের পরিচয় দিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না? সেই দেশ এই ভারতবর্ষ। পৃথিবীতে যত গর্বিত লোক জন্মগ্রহণ করিয়াছে আমি তাহাদের অন্যতম। কিন্তু স্পষ্ট বলিতেছি, সেই গর্ব আমার নিজের দরুন নয়—উহা আমার পূর্ব-পুরুষগণকে লইয়া। যতই আমি অতীত ইতিহাস আলোচনা করিয়াছি, যতই আমি পশ্চাতের দিকে তাকাইয়াছি, ততই এই গর্ব আমাকে পাইয়া বসিয়াছে এবং ইহাই আমার ভিতর দৃঢ় প্রত্যয়ের তেজ ও সৎসাহস সঞ্চার করিয়াছে, ইহাই ধরণীর ধূলি হইতে আমাকে ঊর্ধ্বে তুলিয়া আমাদের ত্রিকালদর্শী পূর্বপুরুষগণের পরিকল্পনা সফল করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছে। হে সনাতন আর্যকর্ষির সন্তানগণ। বিধাতার কৃপায় তোমরাও যেন অনুরূপ গর্ববোধ কর, তোমাদের শোণিতপ্রবাহে যেন পূর্বপুরুষগণের উপর ঐ প্রকার শ্রদ্ধা সংক্রামিত হয়—যেন উহা তোমাদের জীবনের প্রধান উপাদান হইয়া বিশ্বের কল্যাণে নিয়োজিত হয়। মনে রাখিও যে, এই ভারতীয় সংস্কৃতির মধ্যেই আছে সেই শক্তিপ্রদ অমৃত-প্রস্রবণ যাহা জড়বাদের সর্বগ্রাসী অগ্নিকে নির্বাপিত করিয়া কোটি কোটি বিশ্ববাসীর হৃদয়ের জ্বালা ঘুচাইতে সক্ষম।

-------------------------------------------------------------------

Part- 1A

Glory of India


Our holy motherland is the land of religion and philosophy—the birthplace of the great, the field of sacrifice. It is only in this country that the greatest ideals of human life have existed from the distant past to the present day. India is the birthplace of piety and ethics, the cradle of sweetness, tenderness and love of humanity. All this is still current and I can assert that India is still the leader of the nations of the world in these matters.

This is India, which has survived despite centuries of conflict, hundreds of foreign invasions, the emergence of hundreds of novel social customs and rituals. Verily the life of India is immortal, the life force is inexhaustible. It is stronger than any mountain on earth. As a matter of fact, the life of India is eternal, infinite and immortal like the soul.

When Greece was not born in such a country, no one thought about Rome, the ancestors of the present Europeans were only false forest dwellers painted in strange makeup, even in that distant era, India is active in the pursuit of its culture. Even before that, the news of the distant past is not found in history. From that time to the present, the message of peace and goodwill has spread from India to the world, from that time to the present day, which even legends are unable to penetrate.

Review the history of the world—wherever a noble ideal is to be found, one finds its birth in India. Since time immemorial, India has been a mine of precious ideas for human society. By spontaneous inspiration, he has freely poured out the lofty ideas all over the world. In religious studies we find that in any country where good morals prevail, that country owes it, at least in part, to India; And if any religion has a sound idea about the immortality of the soul, it is directly or indirectly adopted from India. In fact, philosophical and spiritual waves of thought have flowed from this country and flooded the world time and again. Again such a great flood will come forth from India and infuse new life and vigor into the hearts of the benighted nations.

Truly the debt of the world to our motherland is immense. Slow nature has benefited the world as much to the innocent Hindu as to no other nation. Just as the gentle dew-drops of morning make the lovely rose-buds bloom beneath the eyes of men, so is India's contribution to world-thought. How many times has the silent influence of the unfailingly productive Indian thought revolutionized foreign thought. No one can even know it.

Many powerful and famous nations in ancient and modern times have preached the truth very highly. The seeds of powerful truth have been scattered everywhere in the tumultuous flow of a flourishing national life. In this way, these ideas are being transmitted from one nation to another. But it is to be noted that this happened with the trumpets of war, by the march of the fighting army. Every thought was pushed through a flood of blood to the ears of millions. One command of the mighty conqueror has given rise to the cries of millions, the cries of orphans and the longing tears of helpless widows. Other nations have been propagated mainly in this way. Indian life for thousands of years has been based on intense peace without conflict.

'Evolution of the fittest' - this modern doctrine is popular in Western countries today. They believe that survival depends only on physical strength. If this were true, all the powerful ancient nations of the world would be alive today and the weak Hindu nation, which never conquered any other nation, would have disappeared by now. But it didn't happen anywhere. Of those powerful nations there is no trace today; But we 30 crore Hindus are still alive. Of all the nations of the world we are the only ones who have not trampled on any other nation and it is because of this great virtue that we are still standing.

Let's take the case of ancient Greece. Today it has completely disappeared from the surface of Dharani. Rome or what? There was a time when the glorious flag of ancient Rome flew over the world's kingdoms. Everywhere the prowess of the Roman race was recognized by mankind. The whole world trembled in fear of Rome. But alas. The Capitoline Hill, the glory of Rome, is now in ruins. The palaces of the mighty Roman emperors are now covered in cobwebs. How many glorious nations have thus come into the world and found their way— their eternal extinction bubbled up at the end of a momentary mastery and corrupt national life. These nations have left a mark on the page of human history in this way. But we are not dead. Today, if Acharya Manu comes back among us, he will not be surprised to see us - he will not have the illusion that he has come to a strange land. Because the old rules developed after thousands of years of research and regulation are still prevalent in this country. Rituals born of the mind and experience of hundreds of ages exist here as if they were eternally alive. As time goes by, the more adverse conditions come upon them, the stronger and more determined they become. Have you ever heard of a country where the best royalty do not hesitate to identify themselves as descendants of forest-dwelling half-naked Tapas instead of some mighty nobleman or ancient castle-dwelling bandit-landlord? That country is India. I am one of the proudest people born in the world. But to be clear, that pride is not due to myself - it is due to my ancestors. As much as I have discussed the past history, as much as I have looked at the past, this pride has filled me and this has instilled in me the radiance of conviction and courage, this has lifted me from the dust of the earth and inspired me to succeed in the plans of our forefathers. O children of Sanatana Aryakarshi. By the grace of God, may you also feel the same pride, may the same reverence for the ancestors be infected in your sound stream - may it become the main element of your life and be engaged in the welfare of the world. Remember that within this Indian culture lies the potent nectar-fountain capable of quenching the all-consuming fire of materialism and burning the hearts of billions of people around the world.

RJKB

RJKB stands for Raja Jnana Karma Bhakti. In this blogger site, you will get many more life building thoughts which will increase your Spiritual Power. So join this blog & start your Spiritual Journey. আর জে কে বি মানে রাজ জ্ঞান কর্ম ভক্তি। এই ব্লগার সাইটে, আপনি আরও অনেক জীবন গঠনের চিন্তা পাবেন যা আপনার আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করবে। সুতরাং এই ব্লগে যোগ দিন এবং আপনার আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু করুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post